ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
হার দিয়ে শুরু, হার দিয়েই শেষ। মাঝে দুটো জয়ে দল জায়গা করে নিয়েছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন দেখছিলেন নুরুল হাসান সোহানরা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি! প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারে শুরু হয়েছিল মিশন। তারপর হংকং ও পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল উঠে যায় সেমিফাইনাল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিল টাইগাররা।
করাচিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে কলম্বোতে সেমিফাইনাল খেলতে নেমেই পথ হারাল দল। বৃহস্পতিবার শেষ চারেরম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ৪ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেটস ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৩৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ৪১ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান তিন ব্যাটসম্যান। অবশ্য একপ্রান্তে আগলে রাখেন ওপেনার মিজানুর রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। মিজানুর ৭২ রান তুলে ফিরতেই থমকে যায় দল। যদিও ইয়াসির আলির দৃঢ়তায় দুইশ পেরোয় বাংলাদেশ। অলআউট হয়ে তুলে ২৩৭ রান। ইয়াসির আলি ৬৬ ও মোসাদ্দেক হোসেন করেন ৩৯ রান।
চামিকা কারুনারত্নে ৮.১ ওভারে ৩১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আসিকা ফার্নান্দো ৫০ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কার দলীয় ৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। পেসার শফিউল ইসলাম ঝড় তুললেও পরে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন নি। অবশ্য ৮৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। ৪৭ রানে ফিরেন সান্দুন। এরপরই প্রতিরােধ গড়েন কামিন্দু মেন্ডিজ।
পঞ্চম উইকেটে শেহান জয়াসুরিয়ার (৩৯) সঙ্গে ৭০ আর ষষ্ঠ উইকেটে গুনারত্নের (২৪) সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন এই ব্যাটসম্যান। ৮৮ বলে ৯ চারে ৯১ রানে শেষ পর্যন্ত দলকে মাঠ ছাড়েন মেন্ডিস। বাংলাদেশের হয়ে ৯.২ ওভারে শরিফুল ইসলাম ৫০ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। শফিউল, আফিফ ও নাঈম নেন ১টি করে উইকেট।
শনিবার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা।
Discussion about this post