ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হচ্ছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ক্রিকেটারটি রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর থেকে আছেন সমালোচনার তোপে। অনেকেই তার এমন সিদ্ধান্তটা ভালভাবে নেয়নি। এ কারণে সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। তবে সব ভুলে আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ভাবছেন মাশরাফি। জানালেন সিরিজ শেষেই নির্বাচন নিয়ে ভাববেন।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নড়াই-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে লড়বেন মাশরাফি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। তার আগে ৯ তারিখ থেকে শুরু ওয়ানডে সিরিজ। ১৪ ডিসেম্বর সিরিজ শেষ করেই নামবেন নির্বাচনী প্রচারনায়।
তার আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাডেমি ভবনের কাছে অস্থায়ী পুলিশ এনক্লোজারের সামনে স্ব-উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে করলেন মাশরাফি। সেখানেই তিনি জানান, আগে ক্রিকেট পরে রাজনীতি। সংবাদ সম্মেলন মাশরাফি নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘আমি চাই না ম্যাচের আগের দিন ম্যাচ সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্সে আমাকে নির্বাচন বা রাজনীতি বিষয়ক কোনো প্রশ্ন করা হোক। যেহেতু সামনে ৬ তারিখে একটা অনুশীলন ম্যাচ ও পরে ৯ তারিখে প্রথম ওয়ানডে। তাই এ সময়ের মধ্যে আমাকে মিডিয়ার সামনে আসতেই হবে। তখন আমি চাই না ক্রিকেটের বাইরে কোনো কথা বলতে। আমি আজ এ (নির্বাচন) ব্যাপারে কথা বললেও ১৪ তারিখ অর্থাৎ সিরিজের শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত ক্রিকেটই আমার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। এসময়ে যাতে ক্রিকেটের বাইরে কিছু ভাবতে না হয়, সে কারণেই আজকের প্রেস কনফারেন্স।’
সংবাদ সম্মেলনটা হলোও এক অদ্ভুত জায়গায়, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে! কোনো ক্রিকেটার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি কি বোর্ডের অনুমতি নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন গণমাধ্যমের? মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই বিসিবির অনুমতি আছে। আমাদের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম ভাইয়ের সাথে কথা বলেই এ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে হচ্ছে। মূলত সিরিজ চলাকালীন যাতে নির্বাচন সম্পর্কিত কিছু শুনতে না হয় তাই এখন এটি করা।’
সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডের শুরু ৯ ডিসেম্বর। পরের দুই ওয়ানডে ১১ ও ১৪ ডিসেম্বর। খেলা শেষ করেই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন মাশরাফি।
Discussion about this post